দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী ২১ শিক্ষকের নাম দিল রাবি ছাত্রদল

তাজনিন নিশাত ঋতু
ফাইল ফটো। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
ফাইল ফটো। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ২১ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেছে রাবি শাখা ছাত্রদল। তাদের ‘দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছে-দাবি মানা না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামবে তারা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। সমাবেশের শুরুতেই ব্যানারসহ ২১ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করে তাদের ‘দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমদ রাহী বলেন, “আজ আমরা দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছি। খুব শিগগিরই বাংলাদেশপন্থী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আরও একটি তালিকা প্রকাশ করব। আমরা দেখতে পাচ্ছি এই শিক্ষকরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদি আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হতাম, তাহলে তারা আজ রাবির মাটিতে হাঁটতে পারত না।”তিনি আরও বলেন, “এইসব শিক্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে রাবি ছাত্রদল কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে।”

শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একপাক্ষিকভাবে জামাতি আচরণ করছে। তারা একদলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাকসু কার্যক্রম শুরু করেছে। অথচ কিছুদিন আগেই ছাত্রদলসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাকসুর বাস্তবায়নের দাবি তুলেছিল। কিন্তু আমরা দাবি করেছিলাম, আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এই দোসরদের বিচার ছাড়া রাকসুর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া কখনোই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না।”

ছাত্রদল যে ২১ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেছে তারা হলেন,

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার,সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম,অধ্যাপক হুমায়ুন কবির,সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম একরামুল্লা,অধ্যাপক সুলতান মাহমুদ রানা,গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাক আহম্মেদ,রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী জাকারিয়া,ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম,মার্কেটিং বিভাগের ড. এম. বোরাক আলী,অধ্যাপক শাহ আজম,ড. মো. ওমর ফারুক সরকার, ইংরেজি বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন,পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রভাস কুমার কর্মকার,আইন বিভাগের অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান, আবু নাসের ওয়াহেদ, সাদিকুল ইসলাম, শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এনএএম ফাইসাল আহম্মেদ,চিত্রকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেন, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদ হাসান,সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আন্নাতুল ফেরদৌস।
 

সম্পর্কিত