জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি।
নোবিপ্রবি উপাচার্য । ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
নোবিপ্রবি উপাচার্য । ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বৃহত্তর কুমিল্লায় ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। গত (২ আগস্ট-২০২৫) শনিবার কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা’ সংগঠনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, শুরুতেই আমি জুলাই বিপ্লবে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং সম্প্রতি মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় যে সকল  শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাদের শহিদী মর্যাদা দান করুক এবং বেহেস্ত নসীব করুক। যারা আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তারা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক এই দোয়া করছি। প্রিয় শিক্ষার্র্থীবৃন্দ, জিপিএ-৫ পেয়ে  জীবনের  শুরুতেই একটি অংশে তোমরা তোমাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছো। এজন্য  বিশ্ববিদ্যালয় প্ররিক্রমা এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তোমাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও আমাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। সন্তানদের নিয়ে আপনাদের যে অক্লান্ত পরিশ্রম, যে ত্যাগ তার জন্য আমরা আপনাদের স্যালুট জানাচ্ছি। তোমরা যারা এখন ভালো রেজাল্ট করেছো এবং মেধার স্বাক্ষর রেখেছো, পরবর্তীতে কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে মেধার স্বাক্ষর রাখতে হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এ প্রস্তুতির অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে অধ্যাবসায় এবং পরিশ্রম। তোমাদের কাক্সিক্ষত চাওয়াটাকে পাওয়ায় রুপান্তরিত করতে হলে প্ল্যান এ, প্ল্যান বি থাকতে হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, এখনই নির্ধারণ করতে হবে তুমি কোন পথে এগোবে। যে কোনো পরিস্থিতিতেই পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।  তুমি যদি সামনের গিকে এগিয়ে যেতে না পারো তাহলে সেটা তোমার ব্যর্থতা। তুমি যদি তোমার মেধাকে শাণিত করতে না পারো তাহলেও ব্যর্থতা কিন্তু তোমার। প্রতিটি সময় তোমার  জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এ সময়টাকে যে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাবে এবং পরিশ্রম করবে তার কাছেই সাফল্য এসে ধরা দেবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে, শিক্ষার প্রধান  উদ্দেশ্য চাকরি পাওয়া নয় বা ভালো ব্যবসায়ী হওয়া নয়, শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আমাদের মনুষ্যত্ববোধকে জাগ্রত করা। সত্য মিথ্যার পার্থক্য অনুধাবন করা।  আসুন আমরা শিক্ষার মূল যে উদ্দেশ্য সেটাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষে সে উদ্দেশ্যে  পরিচালতি হই। তখনই  একটি সুন্দর এবং  দুর্নীতিমুক্ত দেশ  আমরা উপহার দিতে পারবো।

পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট  ও  সনদ  প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয় এবং জুলাই গণঅভ্যুথানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ, শ্রমবাজার ও শিল্পমুখী কার্যক্রম এবং সমাজ উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ড. জমিরুল আকতার। বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার প্রধান সম্পাদক  জনাব হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান  আলোচক ছিলেন রেজা গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাহিদ রেজা।

সম্পর্কিত