ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) রিসার্স সোসাইটির আয়োজনে “The Unveiling: Research Insight and Leadership Transition” শীর্ষক একটি গবেষণা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের গগন হরকরা গ্যালারীতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে রিসার্স সোসাইটির সভাপতি সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গাজী মো: আরিফুজ্জামান খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মহিমা আক্তার ও শারমিন আক্তার শর্নার যৌথ সঞ্চালনায় মূখ্য আলোচক ছিলেন মার্কেটিং ওয়েভ কিংডমের পরিচালক উজ্জ্বল ইয়ামান চৌধুরী।
সেমিনারে গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এতে গবেষণায় অন্তর্দৃষ্টি অর্জন ও নেতৃত্বের পরিবর্তন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। সেমিনারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের গুণগত মান উন্নয়ন এবং নেতৃত্বের সুষ্ঠু হস্তান্তর নিশ্চিত করতে নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সেখানে, অতিথি, আলোচকবৃন্দ ও সংগঠনের সাবেক এবং বর্তমান দায়িত্বশীলদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সেমিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, "বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকার একটি বড় কারণ হলো রিসার্চ অ্যাক্টিভিটি কম থাকা। উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের নিজস্ব জার্নাল থাকে, যেখানে তারা রিসার্চ রিভিউ, রেফারেন্স যাচাই ও আপডেট করে। দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই রিসার্চ মেথডোলজি শেখানো উচিত, যাতে শিক্ষার্থীরা দিক নির্ধারণ ও গবেষণায় অভ্যস্ত হয়। বিজ্ঞান শিক্ষার্থীরা ল্যাবে কাজের মাধ্যমে পরীক্ষণ শিখে, আর সামাজিক বিজ্ঞানীরা তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন আইডিয়া তৈরি করে। রিসার্চে শুধু উপস্থিত হওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া জরুরি। যারা রিসার্চে কাজ করছে, তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব ও সম্পদ। শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে সবাইকে যুক্ত করতে হবে এবং গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।"