চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন,উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি হয়, যা আধুনিক শিল্প ও প্রযুক্তির বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রকৌশলে উচ্চ শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটায়, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশের উন্নতিতে অবদান রাখে এবং উন্নত জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। উচ্চ শিক্ষা প্রকৌশলীদের কাছে এমন জ্ঞান ও দক্ষতার সঞ্চার করে যা, তাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলে এবং আরও উদ্ভাবনী, সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধান তৈরি করতে সাহায্য করে, যা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। উচ্চ শিক্ষা প্রকৌশলীদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করে,যার মাধ্যমে তারা জটিল প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক নীতিগুলিকে ব্যবহার করে কার্যকর সমাধান তৈরি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সমাজের অগ্রসর শ্রেণি হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রতি প্রকৌশলীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অপরিসীম। পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন, উৎকর্ষসাধন এবং মনন ও মেধার সর্বোত্তম প্রয়োগের মাধ্যমে কেবল সে দায়িত্ব পালনে সফল হওয়া সম্ভব, ‘অন্য কোনো পন্থায় নয়’। আমি আশা করবো, প্রকৌশলীরা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে আধুনিক জীবনকে সহজ, নিরাপদ এবং উন্নত করে তুলতে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবেন।
আজ (১৪ আগস্ট) বৃহস্পতিবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত “২০২৪-২৫ (জুলাই ২০২৫) শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম"-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবি।
নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়া সাদিয়া এবং পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আউয়াল গাব্রা ওমর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুল আলম। এতে সঞ্চালনা করেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ইইই বিভাগের প্রভাষক আজমল আহমেদ । অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ।