সাভারে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চে (নিটার) দীর্ঘ তদন্তের পর ১২ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বহিষ্কার এবং অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে অভিযোগপ্রাপ্তদের শাস্তি দাবি করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের তৃতীয় দিনে অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গেইট ভেঙে পালিয়ে যান। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন এবং প্রায় এক মাস ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করে। শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত দাবি জানিয়ে থাকে। পরে তারা পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটের ডিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ধীরে ধীরে ক্লাস কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কনফারেন্স রুমে দুই দফায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তদন্ত শেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে ১১ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বহিষ্কার এবং অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অভিযোগপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইসমত জেরিন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মামুন উর রশীদ, রেজিস্ট্রার রুহুল আমিন, সহকারী অধ্যাপক মোহসিন উল হক, সহকারী অধ্যাপক নাজিম উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হাসান শিবলী, সহকারী অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ কুমার পাল, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেলোয়ার হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার মমিন শিকদার, ইলেকট্রিশিয়ান মাহবুবুর রহমান, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট আমানউল্লাহ এবং ক্লিনার মাকসুদুর রহমান।
সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে সতর্ক করে পুনরায় কাজে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আংশিক সন্তুষ্টি এনেছে। তবে আন্দোলনের সময়কার অন্যান্য দাবির অগ্রগতি না হওয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ তদন্তকালীন সময়ে অভিযুক্তদের বেতন-ভাতা প্রদানের কারণে প্রতিষ্ঠানটি বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের একাংশ মনে করছেন।