বাংলাদেশের আনাচে কানাচে শত শত জমিদার বাড়ি রয়েছে। যেগুলো ইতিহাস ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের সাক্ষী। নানান ধরনের পৌরাণিক ইতিহাসের জানা-অজানা অনেক তথ্য মিলে সেই সব জমিদার বাড়িগুলোতে জমিদারদের জীবনযাপন থেকে শুরু করে তাদের অনেক ধরনের তথ্যই এই জমিদারদের বাড়িগুলোয় পাওয়া যায় । ইতিহাসের টানে হলেও এই জমিদার বাড়িগুলো অবশ্যই ঘুরে দেখুন।
শশী লজ ময়মনসিংহ জেলা সদরে অবস্থিত একটি রাজবাড়ি। ঊনবিংশ শতকে মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী দৃষ্টিনন্দন প্রাসাদ নির্মাণ করেন। মহারাজ সূর্যকান্ত তার দত্তক ছেলে শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর নামানুসারে প্রাসাদটির নামকরণ করেন শশী লজ। স্থানীয়ভাবে ময়মনসিংহ রাজবাড়ি নামেও পরিচিত।
১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী পুনরায় নির্মাণ করেন। ৯ একর জায়গা ওপর নির্মিত শশী লজ ভবনের প্রধান ফটকে ১৬ টি গম্বুজ রয়েছে।শশী লজের মূল ভবনের সামনে একটি চমৎকার বাগান রয়েছে। বাগানের মাঝখানে শ্বেতপাথরের ফোয়ারার সাথে গ্রিক দেবী ভেনাসের এক মর্মর মূর্তি স্থান পেয়েছে। ১৮ টি বিশাল কক্ষের মূল ভবনের পেছনে আছে দোতলা স্নানঘর, পুকুর ও মার্বেল পাথরে নির্মিত ঘাট। ১৯৫২ সালে শশী লজে মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে বাড়িটির মূল ভবন অধ্যক্ষের কার্যালয় এবং দপ্তর হিসেবে করা হতো। ২০১৫ সালে ৪ এপ্রিল জাদুঘর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শশী লজটি অধিগ্রহণ করে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে এনা, আলম এশিয়া, শামীম এন্টারপ্রাইজ, শৌখিন কিংবা নিরাপদ পরিবহনের বাসে করে ২৬০ টাকা ভাড়ায় ময়মনসিংহ যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। মাসাকান্দা বাস স্ট্যান্ডে নেমে অটো অথবা রিকশায় চড়ে শশী লজ ঘুরে আসতে পারবেন। রিক্সা ভাড়া নেবে ৩০-৪০ টাকা।