রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শুরু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি একাডেমিক ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটারদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ নারী ও ৬০ দশমিক ৯০ শতাংশ পুরুষ শিক্ষার্থী। রাকসু ও হল সংসদের বিভিন্ন পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৮৬০ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন ও প্যানেলের প্রার্থীরা। নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ২১২ জন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১০টি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা দলীয় ব্যানার, পোস্টার ও প্রতীক নিয়ে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যদের। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনে ভোট কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯৭৩ সালে রাকসু গঠনের পর থেকে নিয়মিত নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকে এটি মাত্র সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও প্রত্যাশা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা গণসংযোগ, প্রচার ও সংগঠনের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে দিনরাত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে গণতান্ত্রিক চর্চা আরও জোরদার হবে এবং রাকসু শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজে শিক্ষার্থীরা বলছেন, “এই নির্বাচন আমাদের অধিকার ও পরিবর্তনের প্রতীক।”
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে।নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আল মাসুম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ সাইদুল হাসান মনোনীত হয়েছেন। ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহম্মদ সজীব প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। নবনির্বাচিত সভাপতি আল মাসুম হোসেন বলেন‚ ‘ফোরামের শাখার সদস্যদের আমার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থেকেই এই দায়িত...
পূর্বঘোষিত নির্ধারিত সময়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাকসু ও রাকসু প্রশাসনসহ সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রোববার (১২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রায় ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকসু ও রাকসু নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে নানান নাটকীয়তা ও উত্তাপ ছড়িয়েছে এবং নির্বাচন বানচালের ষ...
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নিতে “ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম” নামের প্যানেল তাদের ১০ দফা ইশতেহার প্রকাশ করেছে। নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও আধুনিক শিক্ষা পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির নেতারা এই ১০ দফা ঘোষণা দেন। তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও আধুনিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ...
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থীরা একে একে উন্মোচন করেছেন নানা প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনা। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জুবায়ের হোসেন অডিটরিয়ামে আয়োজিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে নয়জন ভিপি প্রার্থী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও শিক্ষাবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিতর্কটি চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়—প্রথমে প্রার্থীরা তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন, এরপর নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর দেন। তৃতীয় পর্...
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নতুন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী সোমবার (১৩ অক্টোবর) তারা পালন করবেন ‘লং মার্চ টু শিক্ষা ভবন’। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা এখন এমন এক সময়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে এক পা পিছিয়ে আসা মানে বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা আশা ও আত্মত্যাগকে ধূলিসাৎ করে দেওয়া। বহু প্রতীক্ষিত অধ্যাদেশ অবিলম্বে জারি করতে হবে, অন্যথায় আন্দোলনের আগুন আরও জ্বলে...