কাশগরী হলের প্রবেশপথে ময়লার ভাগাড়

ঢাকা আলিয়া থেকে তাশফিকুল ইসলাম
ফেলে রাখা ময়লার ছবি। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
ফেলে রাখা ময়লার ছবি। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

সরকারি মাদ্রাসা -ই-আলিয়া ঢাকার পূর্ব পাশে,কাশগরী হলের প্রবেশপথের ঠিক সামনের রাস্তায় প্রতিদিন জমা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড়। এতে গোটা মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ও দুইটি আবাসিক হলে ছড়িয়ে পড়ছে তীব্র দুর্গন্ধ। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির মধ্যে থাকলেও কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের আশপাশের আবাসিক ভবনগুলোর ময়লা সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এনে এই নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করছেন। অথচ দেয়ালে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, “এখানে ময়লা ফেলা নিষেধ।” তা সত্ত্বেও পুরো বকশিবাজার এলাকার ময়লা এখানে এনে ফেলা হচ্ছে নিয়মিত।

শিক্ষার্থীরা একাধিকবার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ময়লা না ফেলতে অনুরোধ করেছেন, কিন্তু তাদের কথা আমলে নেওয়া হয়নি। কেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার পূর্ব পাশের রাস্তায় ময়লা ফেলা হচ্ছে জানতে চাইলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের একজন বলেন,
আমাদের সিটি কর্পোরেশন যে জায়গায় ময়লা ফেলতে বলে, আমরা সেখানেই ফেলি। রাতের বেলায় ট্রাক এসে নিয়ে যায়। আপনারা চাইলে সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা শুধু দায়িত্ব পালন করি।


আরাফাত, মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন,দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশেই মাদ্রাসার গেটে ময়লার ভাগাড় প্রশাসকের কাছে জবাব চাই । হালকা বাতাস হলেই দুর্গন্ধে ক্লাসে মন বসে না, খাওয়া-দাওয়াও ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে। এটা কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ হতে পারে? সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসন কি এই পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখেছে? আমরা কেমন করে পড়াশোনা করব এমন পরিবেশে?

নুর আহমেদ নামের শিক্ষার্থী বলেন,
মাদ্রাসার সামনে দিনের পর দিন ময়লা ফেলা হচ্ছেত এটা এক প্রকার অবহেলা। আমার প্রশ্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মীদের অবাধ ময়লা ফেলা প্রশাসক কি দেখছেন না,  বারবার বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এই জায়গা তো আবর্জনা ফেলার জায়গা নয় । ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অনুগ্রহ করে দ্রুত হস্তক্ষেপ করুন। 

আশিক বলেন,
দেয়ালে  “এখানে ময়লা ফেলা নিষেধ ” লেখা আছে তা  সত্ত্বেও এখানে প্রতিদিন ময়লার ভাগাড় জমা হচ্ছে। আমরা বহুবার বাধা দিয়েছি, বলেছি এখানে শিক্ষার্থীরা বসবাস করে, ক্লাস হয়। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কথা শোনে না।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেটে ময়লার স্তুপ দক্ষিণ সিটির প্রশাসক কি চোখ বন্ধ করে আছেন ? এটা শুধু বিরক্তিকর নয়, স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি করছে। স্থায়ী সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

সম্পর্কিত