জাবিতে হাসিনার পলায়ন ও পতন দিবস উদযাপন

জাবি প্রতিনিধি।
হাসিনার পলায়ন ও পতন দিবস উদযাপন। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
হাসিনার পলায়ন ও পতন দিবস উদযাপন। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান শেখ হাসিনার পলায়ন ও পতন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে বলেছেন, ১৯৭১, ১৯৯০ এর পরে ২০২৪ এসেছে আমাদের চারিত্রিক দুর্বলতার কারণে। প্রত্যেকের আত্মজিজ্ঞাসার জায়গায় নিজে কী করছেন, তা প্রশ্ন করতে হবে। উপাচার্য বলেন, মানুষের ত্রুটি থাকবে কিন্তু ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়ার অঙ্গীকার থাকা জরুরি।

উপাচার্য বলেন, ২০২৪ এর অর্জন ধরে রাখতে বৈচিত্রের নামে বিভাজন তৈরির বৈশিষ্ট্য থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা হামলাকারীদের ন্যায্য বিচারের চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শি¶কদেরও বিচার চলমান রয়েছে। যারা নির্দোষ প্রমাণিত হবেন, কোনো ব্যক্তি চাপে তাদের ওপর অবিচার করা হবে না। একই সাথে যারা রক্ত ঝরিয়েছেন এবং নির্দেশ দেওয়ার গর্হিত কাজ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন তাদের বিচার নিশ্চিত করবে।

আজ সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার পাদদেশে ৩৬ জুলাই স্বৈরাচার হাসিনার পতন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গান। 

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও ‘৩৬ জুলাই স্বৈরাচার হাসিনার পতন দিবস উদযাপন-২০২৫’ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জাতীয় সংগীতের পর আনন্দ শোভাযাত্রা ছাত্রী হলের সম্মুখের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে অদম্য-২৪ স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে দোয়া ও মোনজাত শেষে সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। 

সম্পর্কিত