গ্রিন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নবীনবরনে উপস্থিত অতিথীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
নবীনবরনে উপস্থিত অতিথীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে সামার সেমিস্টার ২০২৫-এর নবীবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটিস্থ ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে জাপান দূতাবাসের জনসংযোগ ও সাংস্কৃতিক বিভাগগের ডেপুটি হেড ইয়ামামাতো কিওহেল প্রধান অতিথি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ্, টেক্সটাইল বিভাগের ডিসটিংগুইস্ড প্রফেসর ও চেয়ারপার্সন ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন (অব.) প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, ব্যবসায় শিক্ষা ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ উপস্থিত ছিলেন।

নবীন বরণে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার উদ্দেশ্য শুধু ডিগ্রি অর্জনের জন্য নয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশেও নিজেকে কাজে লাগাতে হবে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় বিভাগীয় শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রাশাসনের যে কারো দ্বারস্ত হওয়ার আহ্বান তিনি। উপাচার্য বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটি তার গ্র্যাজুয়েটদের এমন জায়গায় পৌঁছে দিতে চায়, যেখানে তারা দায়িত্ব নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বড় স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগার পরামর্শ দেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্ঞানার্জন করতে হবে, তেমনি দক্ষতা ও আচরণে মতো বিষয়গুলো শিখতে হবে। তবেই আগামী চার বছর পর একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে সম্ভব হবে। এ সময় তিনি আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের আধুনিক সব ধরনের গুণাবলী অর্জনের ওপর তাগিদ দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়ামামাতো কিওহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নেটওয়ার্কিং। এর মধ্য দিয়েই একজন শিক্ষার্থী তার নিজ বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষকবৃন্দ এমনকি চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকতে পারে। পাশাপাশি প্রয়োজন ‘কনসিসটেন্সি’। কারণ, একাডেমিক সব ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারলে যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনযোগী হতে হবে। 

ডিসটিংগুইস্ড প্রফেসর ও টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর বলেন, পড়াশোনা অবশ্যই জরুরি। তবে এর পাশাপাশি সামাজিক কার্যাবলীর জন্য বিশেষ করে ক্লাবগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কখনও হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কারণ, মানব জীবনে পরিশ্রম-সংগ্রামই সব।এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই নান্দনিক পাওয়ার পয়েন্ট পেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। 

আলোচনা সভা শেষে স্ব স্ব বিভাগ তাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরে নবীন শিক্ষার্থী ও উপস্থিত সকলের উপস্থিতিতে বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে গ্রিন ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা।
 

সম্পর্কিত