কুবিতে রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কুবি প্রতিনিধি।
রক্তদান কর্মসূচি। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
রক্তদান কর্মসূচি। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণ করে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রক্তদান, স্বাস্থ্যসেবা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আজ (১৬ জুলাই) বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্টে কর্মসূচির সূচনা হয়, যা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর সহযোগিতায় ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’ ও ‘রোটারেক্ট ক্লাব’ এবং রক্তদান কর্মসূচির সহযোগিতায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদাতা সংগঠন ‘বন্ধু’ এবং ‘সন্ধানী, কুমেক ইউনিট। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সোহরাব উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হামিদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.হায়দার আলী বলেন,“যারা এই শহীদি আত্মদানের মাধ্যমে আমাদের মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছে তাদের শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আজকের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হলো এবং  ৫ আগস্ট বড় প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাসব্যাপী আয়োজন শেষ হবে। মাসব্যাপী এ আয়োজনের অংশ হিসাবে আজকে বৃক্ষরোপন ও রক্তদান কর্মসূচী। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই খুব আন্তরিক এবং সবার সহযোগিতায় এটা আমরা সফল করতে পারছি তাই সবাইকে ধন্যবাদ।”

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন,“জুলাই যুদ্ধের শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং শহীদ দিবস উপলক্ষে আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি-একটি সদকায়ে জারিয়া হিসেবে বৃক্ষরোপণ এবং অন্যটি রক্তদান কর্মসূচি। এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে আমরা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি, অসুস্থদের জীবনে নতুন আশার আলো পৌঁছে দিতে চাই।”

 

অধ্যাপক ড. সোহরাব উদ্দিন বলেন, “জুলাই আন্দোলন কে সামনে রেখে আমরা ভেবেছিলাম এমন আয়োজন যাতে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা থাকবে। তাই এই আয়োজন করা যাতে আমাদের ক্যাম্পাসের বন জঙ্গলে নিরাপত্তার কারণে রোট্যারেক্ট ক্লাব ও অভয়ারণ্যের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী করা। এখানে বনজ, ঔষধী ও ফলজ বৃক্ষ রোপন করা হয়। আমরা গাছগুলো পরিকল্পনামাফিক রোপন করি যাতে ফলস্বরূপ হয়। আমরা ২ হাজার বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা করেছি যা ধীরে ধীরে আমরা বাস্তবায়ন করবো।”

 

উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রথম প্রতিরোধ দিবস-১১ জুলাই' শীর্ষক অনুষ্ঠান ‘স্মৃতির মিনার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্পর্কিত