মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতি করা একটি ভয়াবহ অমানবিক প্রবণতা যা আমরা কখনোই বরদাশত করতে পারি না। আজকের দিনে অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, কিছু গোষ্ঠী পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডগুলোকেও রাজনৈতিক রঙে রাঙিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করছে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি অপরাধী তার অপরাধেই চিহ্নিত হবে, দলীয় পরিচয়ে নয়। ন্যায়বিচারের পথ রক্তচিহ্নে নয়, সত্যচিহ্নে চেনা উচিত। রাজনীতি যদি ন্যায়ের পক্ষে না দাঁড়ায়, তবে সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।আমরা সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে আছি ।
হত্যাকারীর পরিচয় কোনো রাজনৈতিক ব্যানারে নয় বরং তার বর্বর কর্মকাণ্ডেই স্পষ্ট। তাই আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত ও দলমত নির্বিশেষে বিচারের দাবিতে সোচ্চার।
আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দাবি জানাই, মিটফোর্টে যুবদল কর্মী ও ব্যবসায়ী সোহাগ, খুলনায় সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান, ঢাকায় ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যাকাণ্ড, এবং চাঁদপুরে মসজিদের ইমাম, সম্মানিত মাওলানা আ ন ম নূর রহমান মাদানী সাহেবের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে অতি দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আমরা চাই না আর কোনো নিরপরাধ প্রাণ হিংসার বলি হোক। আমরা চাই এই দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান হোক। আমরা বলছি, রাজনীতি নয়, চাই সত্য ও ন্যায়ের নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠা।
আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান সঠিকভাবে বলেছেন, “যে অন্যায় করে, আইনের দৃষ্টিতে তার বিচার হবে। সে কোন দলের, তা বিবেচ্য নয়। দল কখনো অন্যায়কারীর পক্ষ নেয় না, প্রশ্রয় দেয় না।” এই মূল্যবোধেই আমরা অবিচল। অপরাধীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই সত্যিকারের রাজনীতি। ন্যায়বিচারের পক্ষে, মানবিকতার পক্ষে, আমরা আছি এবং থাকবো।