ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ উদ্বোধন করছেন অতিথীবৃন্দ। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট
চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ উদ্বোধন করছেন অতিথীবৃন্দ। ছবি: ক্যাম্পাস রিপোর্ট

চীন ও বাংলাদেশের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং ঐতিহ্যভিত্তিক সম্পর্ক উদ্যাপন করতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছে ‘চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ’। দুটি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো মজুবত করতে ‘মিলেনিয়াম কালচারাল বন্ডস’ চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময় মাসের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিবিশন গ্যালারিতে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ আয়োজিত হচ্ছে। এই আয়োজনে তুলে ধরা হয়েছে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরতা- যার মধ্যে রয়েছে চীনের ঐতিহ্যবাহী শিল্প, বাদ্যযন্ত্র এবং হস্তশিল্প। ২২শে জুন এই আয়োজনের উদ্বোধন হয়েছে। চলবে ২৬শে জুন পর্যন্ত।

এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. ওয়ারেস হোসেন, জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক জনাব আরিফুল হক, এবং চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মি. লি শাওপেং।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মনোনীত বাহক মি. হান ঝিকিয়াং ও মিস ইয়ুয়ান শিউহুয়ান, বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক সহযোগিতায় যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং দেশি-বিদেশি অতিথিবৃন্দ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, এটি এক হাজার বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক বন্ধনের সোপান। এই ঐতিহ্য মানবিকতায় গাঁথা, ভাষা ও সংস্কৃতিতে মিলিত। বক্তারা আরও বলেন, বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দুই জাতির মাঝে সময়ের সেতু রচনা করেছে,যেখানে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ একসূত্রে আবদ্ধ।

চীন বর্তমানে ইউনেস্কো স্বীকৃত সর্বাধিক ৪৪টি বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী দেশ। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া চীনা প্রতিনিধিরা ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র গুচেং ও এরহুর পরিবেশনার মাধ্যমে দেশটির সংস্কৃতিকে দর্শনার্থীদের সামনে জীবন্ত করে তোলেন। এছাড়াও মার্শাল আর্ট প্রদর্শনী দর্শকদের মুগ্ধ করে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ছিল ফিতা কাটা এবং প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে চীনের প্রাচীন হস্তশিল্প, বাদ্যযন্ত্র এবং সংস্কৃতিভিত্তিক নিদর্শন। এই ‘বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ’ শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং দুই দেশের জনগণের মধ্যে আন্তঃসংস্কৃতিক বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক মৈত্রীর এক অনন্য উদাহরণ। 
 

সম্পর্কিত