রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) আজ সোমবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো উদ্ভাবন ও গবেষণাভিত্তিক উৎসব RUET Innovista 2025। রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে ‘পোস্টার প্রেজেন্টেশন’, ‘প্রজেক্ট শোকেসিং’ এবং ‘জার্নাল পাবলিকেশন এনকারেজমেন্ট-এই তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে অংশগ্রহণ করে শতাধিক শিক্ষার্থী। শেষে ২৭টি পুরস্কার দেওয়া হয় বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজয়ীদের মধ্যে।আয়োজনটি দুই পর্বে সম্পন্ন হয়। প্রথম পর্বে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রুয়েট প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে ইনোভেটিভ প্রজেক্ট শোকেসিং ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রাজ্জাক ফিতা কেটে এই পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ ও শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রাজ্জাক।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিনির্ভর ও উদ্ভাবনমুখী। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা, গবেষণার আগ্রহ এবং বাস্তবসম্মত প্রযুক্তি-চিন্তা সৃষ্টি করতেই এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। RUET Innovista 2025 শিক্ষার্থীদের এমন এক প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হল জ্ঞানের জোগানদাতা মাত্র নয়, বরং সমাজ ও দেশ গঠনে নেতৃত্বদানে প্রস্তুত একটি শক্তিশালী প্রজন্মের নির্মাণস্থল। RUET Innovista ২০২৫ আয়োজন, সেই দৃষ্টিভঙ্গিরই বাস্তব প্রকাশ।”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, “শুধু পাঠ্যসূচি নয়, বরং গবেষণা ও উদ্ভাবনের চর্চা শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল-জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। এই আয়োজন তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ জোগাবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, ফলিত বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদের জিলানী, নেসকোস‘র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজী (আইআইসিটি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো শহীদ উজ জামান।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল অংশগ্রহণ ও প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে দিনটি হয়ে ওঠে এক অভূতপূর্ব উদ্ভাবনী উৎসব।